ই সিম কি | ই সিমের সুবিধা কি | ই সিম সাপোর্ট মোবাইল |
বিসবিসমিল্লাহির রহমানির রহিম ই সিম কি | ই সিমের সুবিধা কি | ই সিম সাপোর্ট মোবাইল | I Top Tech 24 |
ই সিম কি? (What is E sim)
আসসালামু আলাইকুম।
আশা করি অনেক ভালো আছেন। আল হামদুলিল্লাহ আমিও নেক ভালো আছি।
ই সিম কি | ই সিমের সুবিধা কি | ই সিম সাপোর্ট মোবাইল | I Top Tech 24 |
কেমন হতো বিষয়টি যদি আপনাকে বলা হতো আজকের পর থেকে আর আপনার মোবাইলে সিম কার্ড আলাদা করে লাগাতে হবে না। মোবাইলে আগে থেকেই সিম কার্ড লাগানো থাকবে। আর প্রাথমিক অবস্থায় আপনার সিমের কোনো নাম্বার থাকবে না। এরপর আপনি দোকান থেকে আপনি একটি ফিজিক্যাল সিমের বদল একটি মাত্র কিউআর কোড কিনবেন। এবং সেই কিউআর কোডটি কোডটি স্ক্যান করেই আপনি যদি সিম কার্ড একটিভ করে নিবেন। অর্থাৎ সিম কার্ড খোলা বা লাগানোর কোনো ঝামেলা থাকছে না। শুধু একটি মাত্র কিউআর কোড স্ক্যান করেই আপনি আপনার মোবাইল এর সিম কার্ডটি একটিভ করতে পারবেন। আর এটাকেই বলা হচ্ছে ই-সিম।
ই সিম কি? (What is E sim)
এখান আপনার ই সিম নিয়ে অনেকে প্রশ্ন থাকতে পারে। আর আমি আপনাদের সে সকল প্রশ্নের উত্তরগুলো নিয়ে আলোচনা করবো। ইনশাআল্লাহ। এবং E Sim এর সুবিধা ও অসুবিধা নিয়েও আলোচনা করবো। তাহলে চলুন মূল টপিক নিয়ে আলোচনা করি।
ই সিম এর পূর্ণরুপ এবং এর অর্থ কি (What Is E-Sim)
E Sim এর পূর্ণরপ হচ্ছে Embedded Sim। এটি একটি ছোট চিপ যেটা আগে থেকে মোবাইল এর মাদারবোর্ড এ লাগানো থাকে। এই চিপে থাকা সকল তথ্য আপনি পরিবর্তন করতে পারবেন। অর্থাৎ আপনি চাইলে আপনার সিমের অপারেটর পরিবর্তন করতে পারবেন।
ই সিম এর ইতিহাস (History of E-sim)
প্রথম যখন সিম কার্ড আবিষ্কার হয় তখন সেই সিমের সাইজ ছিলো এখনকার সময়ের ক্রেডিট কার্ডের সমান। এবং এটির স্টোরেজ ছিলো মাত্র ১২৮ কিলোবাইট। এরপর ১৯৯৬ সালে বাজারে প্রথমবারের মতো মিনি সিম কার্ড আসে। তখন সিম কার্ডের সাইজ ছিলো ক্রেডিট কার্ডের সাইজ এর সমান। সেই চাইলেও কেউ এক মোবাইল থেকে অন্য মোবাইলে সিম কার্ডটি লাগাতে পারত না। কেবলমাত্র মিনি সিম কার্ডটি এক মোবাইল থেকে অন্য মোবাইলে লাগানো যায়। এরপর থেকে স্মার্টফোন এর চাহিদা দিন দিন বেড়ে যায়। এবং স্মার্টফোনগুলোতে যুক্ত হতে থাকে নতুন নতুন ফিচার। স্মার্টফোনগুলো আরো স্লিম রাখার জন্য ২০০৩ সালে মিনি সিম কার্ড এর চেয়েও অনেক ছোট মাইক্রো সিম বাজারে আসে। তারই ধারাবাহিকতায় মাইক্রো সিমের চেয়েও আরো ছোট নেনো সিম ২০১২ সালে বাজারে আসে। যেগুলো এখন বর্তমানে সব স্মার্টফোন এ দেখতে পাই। তারপরই ২০১৬ সালে বাজারে আসে সেই কাঙ্খিত ই সিম যা নেনো সিম কার্ড এর চেয়েও ১৮ ভাগ ছোট। ২০১৬ সালে স্যামসাং মোবাইলে সর্বপ্রথম ই সিম ইমপ্লিমেন্ট করা হয়।
ই সিম কিভাবে কাজ করে (How does an E-sim work)
সাধারণত ই সিম এর সুবিধা আপনি সকল স্মার্টফোন এ ব্যবহার করতে পারবেন না। যেসকল স্মার্টফোন ই সিম সাপোর্ট করে শুধুমাত্র সেখানে ই সিম ব্যবহার করতে পারবেন। ই সিম সাপোর্ট করা স্মার্টফোন শুধুমাত্র একটি চিপ লাগানো থাকে। আপনি দোকান থেকে যখন একটি সিম কিনে আনবেন সেখানে একটি কিউআর কোড থাকবে তা স্ক্যান করার সাথে সাথে ই সিম ব্যবহারের ধাপগুলো দেখতে পারবেন। বায়োমেট্রিক সিস্টেমের মাধ্যমে আপনি ই সিম ক্রয় করতে পারবেন এবং আপনার আগের সিমটি রিপ্লেস করৈও ই সিম করতে পারবেন।
ই সিম বাংলাদেশ (E-sim in Bangladesh)
২০২২ সালে ৭ই মার্চ গ্রামীণফোন প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে ই সিম সুবিধা চালু করে। ই সিম সাপোর্ট করে এমন ফোনগুলোতে বর্তমানে গ্রামীণফোনের অনলাইন স্টোর বা ফিজিক্যাল দোকান থেকে ই সিম ক্রয় করে তাদের ফোনে ব্যবহার করতে পারবেন। এবং আপনি চাইলে আগের সিমটি রিপ্লেস করেও আপনি ই সিম ব্যবহার করতে পারবেন।
এবং আশা করি বাংলাদেশে অন্যান্য সিম কোম্পানিগুলোও ই সিম ব্যবস্থা চালু করবে।
ই সিমের সুবিধা (Advantage of E-sim)
গতানুগতিক সিমের তুলনায় ই সিম এর সুবিধা অনেক। আপনাকে সিম ব্যবহার করার জন্য আলাদা করে ফিজিক্যাল দ সিম ক্যারি করার দরকার নেই। এবং শুধুমাত্র কিউআর কোড স্ক্যান করার মাধ্যমে আপনার সিমের অপারেটর পরিবর্তন করতে পারবেন। ই সিম এর সাইজ নেনো সিমের চেয়েও ১৮ভাগ ছোট হয়ে থাকে। যার ফলে ই সিম স্মার্টফোনকে আরো স্লিম করতে পারে। তাছাড়াও ই সিম পরিবেশ বান্ধব যেহেতু কোনো প্লাস্টিকের সিম কার্ড ব্যবহার করা হচ্ছে না। তাই এটি পরিবেশের জন্য অনেক ভালো।
ই সিমের অসুবিধা (Disadvantage of E-sim)
এতো সুবিধার পাশাপাশি ই সিম এর কিছু অসুবিধাও রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান যে অসুবিধা সেটা হচ্ছে বর্তমানে বাংলাদেশ এ অধিকাংশ মোবাইল এ ই সিম সাপোর্ট করে না। তাই আপনি চাইলে ই সিম যেকোনো স্মার্টফোন এ ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে আপনি চাইলে আপনার ই সিমটি আবার ফিজিক্যাল সিমে রিপ্লেস করতে পারবেন।
আশা করি ই সিম নিয়ে আপনার মনে থাকা অধিকাংশ প্রশ্নের উত্তর এই আর্টিকেল থেকে জানতে পেরেছেন। এরকম আরো নিত্য নতুন টিপসগলো পেতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইট এর সাথেই থাকুন।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
আসসালামু আলাইকুম।
