তারবিহীন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসা সম্পর্কে জনুন?
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
আসসালামু আলাইকুম। আশাকরি অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও অনেক ভালো আছি।
এখন নতুন করে ব্যবসা করতে চাইলে চিন্তাভাবনা করতে হয়। যুগের সাথে তাল মিলাতে হয়। সবার থেকে একটু ব্যতিক্রম উদ্যোগ গ্রহণ করতে হয়। সেক্ষেত্রে আপনি আপনার সেই কাঙ্খিত গন্তব্যে পৌছাতে পারবেন।
তারবিহীন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসা সম্পর্কে জনুন?
তারবিহীন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট এর মাধ্যমে বর্তমানে তরুণ থেকে বয়স্ক সবাই ইন্টারনেট ব্যবহার করতেছে। পাড়ার ছোট সেই দোকানদারের মালিকও এখন বর্তমানে ফেসবুকের সাথে সংযুক্ত হয়েছে তারবিহীন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট এর মাধ্যমে। শুধু তাই না স্বাধীন ফ্রিল্যান্সার এ তরুণ যুবকেরা এগিয়ে চলছে তাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে। কেবলমাত্র তারবিহীন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট এর সৌজন্যে। এখন বর্তমানে উন্নত বিশ্বের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই তারা ৫জি নিয়ে কাজ করতেছে। আর আমাদের দেশে অনেক জায়গায় এখন পর্যন্ত ৪জি নেটওয়ার্ক কাভারেজ নেই। সেসব এবং অন্যান্ন জায়গাতে তারবিহীন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসা করে লাভবান হতে পারবেন। আর তাই এই আর্টিকেল এ আমি কথা বলবো তারবিহীন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসা নিয়ে।
আমরা যারা তারবিহীন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসা করতে চাই সবার আগে আমাদের জানতে হবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট আসলে কি? আমরা তো ইন্টারনেট ডাটা কিনেও ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে পারি, ডাউনলোড ও আপলোড করতে পারি। তাহলে কেনো এই ব্রডব্যান্ড! এর উত্তর এখন আমরা জানবো।
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কি?
একদম সহজ ভাষায় বলতে গেলে কম টাকায় উচ্চ গতিতে ইন্টারনেট চালানো সুবিধাকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বলা হয়। যে সেবা আমরা অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে পেয়ে থাকি। অপটিক্যাল ফাইবার এর মাধ্যমে ডেটা আলোর গতিতে প্রবাহিত হয় তাই আমরা আমরা উচ্চ গতিতে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট এর মাধ্যমে।
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসা কি?
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসা মুলত ইন্টারনেট ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবসা। বর্তমানে মানুষ বিভিন্ন ভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকে। যেমন: ওয়ারলেস, ওয়াইফাই, ওয়াইম্যাক্স ব্রডব্যান্ড। এগুলোর মাধ্যমে গ্রাহকদের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সবচেয়ে নিররবিচ্ছিন্ন সেবা দেয়। আনলিমিটেড প্যাকেজ, স্বল্প মূল্য এবং নিরবিচ্ছিন্ন গতির নিশ্চয়তার কারনে মানুষ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার করতে আগ্রহী। কিন্তু আমাদের এই দেশে খুব কম জায়গায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পাওয়া যায়। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসা যদিও অনেক কম ঝুকিপূর্ণ। কিন্তু এই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসা সম্পর্কে না জানার কারণে অনেকে তাদের ব্যবসাকে মজবুত করতে পারতেছেন না।
কিভাবে শুরু করবেন
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসা করতে হলে সবার আগে আপনাকে রিসার্চ করতে হবে যে আপনার এলাকায় ইন্টারনেট ব্যবহারকরি কেমন। যদি সন্তেষজনক মনে হয় সেক্ষেত্রে আপনি শুরু করতে পারবেন। ব্রডব্যান্ড ব্যবসা করার জন্য আপনাকে বিটিআরসির কাছ থেকে লাইসেন্স করে নিতে হবে। লাইসেন্স আপনি ৩ মাসের মধ্যে পেয়ে যাবেন।
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসা করার জন্য আপনার প্রয়োজন হবে ব্রডব্যান্ড। আর ব্রডব্যান্ড আসে অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে। তাই আপনাকে দেখতে হবে যে আপনার এলাকায় অপটিক্যাল ফাইবার আছে কিনা। এর সাথে কানেক্টেড করার জন্য পপস পোর্টও থাকতে হবে।
কি কি লাগবে
ব্রডব্যান্ড ব্যবসা করতে হলে আপনাকে কিছু জিনিসপাতি কিনতে হবে। যেমনটা স্পিড কন্ট্রোল করার জন্য মাইক্রোটিক রাউটার, পিসি, ক্যাবল, বেজ স্টেশন স্থাপন করার জন্য একটা সুইচ এবং বক্স। স্পিড কন্ট্রোল করার জন্য মাইক্রোটিক রাউটারটি ২৪ ঘন্টা চালু রাখার জন্য নিরবিচ্ছিন্ন বিদুৎ এর ব্যবস্থা করতে হবে।
পুজি কত লাগবে
পুজি কতো লাগবে সেটা নির্ভর করে আপনার এলাকায় আপনি কতদূর পর্যন্ত লাইন লাগাবেন তার উপর। লাইসেন্স এবং যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ৫০,০০০ টাকা এবং প্রতিটি বেজ স্টেশন এর জন্য ১০০০ টাকা, প্রতি কিলোমিটার ক্যাবল ১০০০০ টাকা। বিটিসিএল এ প্রতি মেগাবাইট ব্যান্ডউথের দাম পরবে ২৮০০ টাকা, আর যদি মোবাইলের টাওয়ারের বিটিএসএল থেকে নেন তাহলে প্রতি মেগাবাইট ব্যান্ডউথের দাম পরবে ৩০০০-৫০০০ টাকা।
পরিশেষে আপনার করনীয়
আপনার কাস্টমারদেরকে সার্বক্ষণিক সেবা প্রদান করা। তারা খারাপ কিছু করলেও তাদের সাথে করা যাবে না। গভীর রাতেও আপনার কাছে ফোন করতে পারে যদি কোনো সমস্যা করে আপনার ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট। তাতে বিরক্ত হওয়া যাবে না।
পেস্ট ট্যাগঃ তারবিহীন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসা, broadband internet business, তারবিহীন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট, গ্রামের ওয়াইফাই ব্যবসা, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসা, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসা লাইসেন্স।
এই আর্টিকেল এখানে শেষ করছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
আসসালামু আলাইকুম
